'ভারত মাতার জয়, জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী।' দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের কাছে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে এই বার্তা দেওয়া BJP-র কার্ড। তবে কি এবার 'ভারত মাতা'-র সঙ্গে 'মা কালী-মা দুর্গা'-কেও পাশে চাইছে গেরুয়া শিবির। বাংলার মানুষের মন জয় করতে স্ট্র্যাটেজি বদল করছে তারা? প্রশ্ন উঠছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
নেই 'জয় শ্রীরাম', বদলে 'মা কালী-মা দুর্গা'
ঠিক ৫০ দিন পর রাজ্যে ফের পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দুর্গাপুরে জোড়া কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রথমে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পর রাজনৈতিক জনসভা করবেন তিনি। পাখির চোখ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সেই মর্মে এখন থেকেই রাজনৈতিক পাল্লা ভারী করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। যেন তেন প্রকারে তৃণমূল সরকারের অবসান ঘটিয়ে বাংলা দখল করতে মরিয়া তারা। আর তাই বাংলার মানুষের মন জয়ের লক্ষ্যেই কি 'মা কালী' এবং 'মা দুর্গা'-র শরণাপন্ন হচ্ছেন পদ্ম নেতারা।
বাড়ি বাড়ি বিলি করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আমন্ত্রণপত্র। 'প্রিয় দুর্গাপুরবাসী...,' এই ভাবে চিঠি শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় লাইনেই লেখা, 'ভারত মাতার জয়, জয় মা দুর্গা, জয় মা কালী।'
কী ব্যাখ্যা BJP-র?
এ প্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-কে রাহুল সিনহা বলেন, 'বাংলায় মা কালী এবং মা দুর্গার আশীর্বাদ আমরা সর্বদাই সঙ্গে নিয়ে ঘুরি। কারণ আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, আর ওরা বিশ্বাস করে আল্লায়। যখনই আমরা মা কালী আর মা দুর্গার নাম নিতে শুরু করেছি, অসুর কূল ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছে। রাম তো আমাদের সঙ্গে আছেই। রামের দেখানো পথ, রাম রাজ্য আমাদের কল্পনার মধ্যে, মননে, চিন্তনে আছেই। মা কালী এবং মা দুর্গাকেও একাত্ম করতে চাই কারণ অশুভ শক্তির দমনে তাঁদের সহযোগিতা দরকার। যখন আমরা জয় শ্রীরাম বলি, ওদের হৃদয়ে সরাসরি আঘাত লাগে। আর যখন জয় শ্রীরাম লেখা দেখছে না, তখন বলছে কেন নেই।'
নয়া স্ট্র্যাটেজি?
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার মসনদ থেকে তৃণমূলকে সরাতে হিন্দু ভোটকেই হাতিয়ার করে ঝাঁপিয়েছিল BJP। 'জয় শ্রীরাম'। স্লোগানই ছিল সে সময়ে তাদের মূল মন্ত্র। তবে এই পন্থা খুব একটা লাভজনক হয়নি সে বছর। তবে এবার আর কেবলমাত্র হিন্দু ভোটের উপর নির্ভর করে নয়। বরং স্ট্র্যাটেজি বদল করে ফেলেছে গেরুয়া শিবির। সে কারণেই কি প্রধানমন্ত্রীর সভার আমন্ত্রণপত্রে 'ভারত মাতা'-র পাশেই স্থান হল 'মা কালী' ও 'মা দুর্গা'-র?