কর্নাটকের গদগ জেলায় এক হিন্দু যুবক দাবি করেছেন যে, বিয়ের পর তাঁকে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে এবং তা না মানলে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রী ও তাঁর পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
অভিযোগকারী বিশাল গোকাভি জানান, তিন বছর প্রেমের সম্পর্কের পর তিনি বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে গত ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে তেহসিন হোসামানিকে বিয়ে করেন। পরে ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ সালে ইসলামিক রীতিতেও আবার বিবাহ অনুষ্ঠান হয়। বিশালের অভিযোগ, ওই অনুষ্ঠানেই তাকে অজান্তেই ইসলাম গ্রহণ করানো হয়। এবং এরপর থেকে তাঁকে নামাজ পড়তে, ইসলামিক নিয়ম মানতে এবং জামাতে যোগ দিতে চাপ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, 'তেহসিন ও তার পরিবার বলেছিল, যদি আমি ধর্মান্তরিত না হই, তাহলে ধর্ষণের মামলা করে আমাকে জেলে পাঠানো হবে। আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, নামাজ পড়ার ছবি পাঠাতে বাধ্য করা হয়েছে।'
বিশালের দাবি, স্ত্রীর কাকা পর্যন্ত এসে তাঁকে নজরদারি করতেন। তিনি নামাজ পড়ছেন কিনা, তা দেখার জন্য। আর এসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই একাধিক হিন্দু সংগঠন এটিকে ‘লভ জিহাদ’-এর ঘটনা বলে উল্লেখ করে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তুলেছে।
এ বিষয়ে গদগের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রোহন জগদীশ বলেন, 'ভিডিও ও অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তাধীন। দম্পতি তিন বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন এবং বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ে করেছেন। পরে ইসলামিক রীতিতেও বিয়ে হয়েছে। আপাতত কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। যদি অভিযোগ আসে, আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'
বর্তমানে বিশালকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত আরও এগিয়ে নেওয়া হবে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং আন্তঃধর্মীয় বিয়ে ও ধর্মান্তর নিয়ে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে।